সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:
সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ‘লেটস টক’ সিরিজের ৫৩ তম পর্বে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা ৩০০ জনেরও বেশি তরুণের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
এদের মধ্যে সুপার অ্যাচিভারস, ট্রান্সজেন্ডার আইকন, ক্রীড়া তারকা ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার বিজয়ীরাও ছিল। তবে এদিন তারা সবাই অভিন্ন উদ্দেশ্যে একত্র হয়েছিলেন।
এই তরুণেরা সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় এবং ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষা নিয়ে নেত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন।
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত তরুণ বিজ্ঞানী ড. সেঁজুতি সাহা সঞ্চালিত ‘লেটস টক’-এর বিশেষ পর্বটি যুব ক্ষমতায়নের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির দৃষ্টান্ত।
বহুল প্রত্যাশিত এই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় রেজিস্ট্রেশন করা হয়। আগ্রহী তরুণদের দীর্ঘ লিস্ট নিয়ে রীতিমতো আলোচনা শুরু হয়।
একজন অংশগ্রহণকারী বলেন, ‘এটি সংলাপের চেয়েও বেশি কিছু; এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে স্মার্ট বাংলাদেশের ব্যাপারে আমাদের স্বপ্ন এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
সংলাপের অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল আসন্ন নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের জন্য ঘোষিত ‘প্রগতির সনদ’।
অংশগ্রহণকারীরা বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের বিভিন্ন উদ্বেগ ও আকাঙ্ক্ষার কথা জানিয়ে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি থেকে শুরু করে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি প্রভৃতি বিষয় তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সাল নাগাদ একটি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ব্যাপারে তার দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করেছেন।
তিনি এটি বাস্তবায়নে চারটি মৌলিক স্তম্ভের রূপরেখা দিয়েছেন: স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ।
তিনি ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন (১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি মূল্যের স্টার্টআপ) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০টি এই ধরনের স্টার্টআপ গড়ে তোলা সহজতর করার জন্য তার প্রশাসনের ভূমিকার উপর জোর দিয়েছেন।
সিআরআইয়ের ‘লেটস টক’ প্রোগ্রামটি সরকার ও জনগণের মধ্যে, বিশেষ করে তরুণদের সঙ্গে ব্যবধান কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।
আয়োজকরা জানিয়েছেন, পর্বটির সম্প্রচারের তারিখ খুব শিগগিরই অফিসিয়াল চ্যানেলে ঘোষণা করা হবে।
সূত্র: ইউএনবি