সিসিএন নিউজ :
কক্সবাজার শহরের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম সংলগ্ন মোহাজের পাড়া এলাকার অবকাশ ভবনের ৬ ও ৭ তলার একটি বেসরকারি সংস্থার-এনজিও অফিসে সোমবার দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে এক দুঃসাহসী ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। ওই ঘটনায় একদল আইন অমান্যকারী লোক অফিসটিতে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়। এ শহরে দিনে দুপুরে একটি এনজিও অফিসে সংঘটিত এমন ন্যাক্কারজনক চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি এখন মানুষের মুখে মুখে।
তবে সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনার বিষয়ে এজাহার পাবার সাথে সাথেই তড়িৎ অ্যাকশনে নেমে পড়েন। পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা করতে থাকে প্রকাশ্য দিবালোকে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে। সর্বশেষ গতরাতে পুলিশ কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এলাকা থেকে লুণ্ঠিত মালামালের অংশ বিশেষ উদ্ধার করেছে। পুলিশ বলেছে, সোমবার লুণ্ঠিত প্রায় সব মালামাল উদ্ধার হয়েছে। তবে এনজিও কর্তৃপক্ষ বলেছে, তাদের অফিসের লুণ্ঠিত আরো মালামাল উদ্ধার করা হয়নি। জানা গেছে, এনজিওটি সরকারের এনজিও ব্যুরোর অনুমোদন নিয়ে রোহিঙ্গা বিষয়ে কাজ করে আসছে। সেই এনজিওতে স্থানীয় এক ব্যক্তি মোটা অঙ্কের বিনিময়ে পরামর্শক হিসাবে জড়িত ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘকাল ধরে ওই ব্যক্তি বিনা পরামর্শে ও বিনা শ্রমে বার বার মোটা অঙ্কের টাকা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিরক্ত এনজিওটি তাকে সম্মানের সাথে বিদায় করে দেয়।
এরপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যক্তিটি সোমবার দুপুরে দরবল নিয়ে এনজিও অফিসে হামলা চালিয়ে বিপুল সংখ্যক মালামাল লুঠ করে নেয়। লুণ্ঠিত মালামালের বড় ক্যানভাস চিত্র ২৪ পিস, ছোট ক্যানভাস ১৪ পিস, কাপড়ের পাখা ২০ পিচ,বড় কাপড়ের ক্যানভাস ২টি,হার্ড ড্রাইভ ৩টি, বোর্ড স্ট্যান্ড পিলার ৩৮ টি, গর্জন প্যানেল ৬৯ পিচবাইন্ডিং করা আর্ট ৩৮ পিচসহ ডিভাইস রয়েছে অনেক সংখ্যক। সব মিলে অনুমান ৪০ লাখ টাকা মূল্যের সামগ্রী একদম সন্ত্রাসী কায়দায় লুট করা হয়। বলতে গেলে রোহিঙ্গা জেনুসাইড বিষয়ক যাবতীয় সংগ্রহ লুঠ করা হয়।
এনজিওটি যথারীতি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর আইনেরও আশ্রয় নেয়। এমনকি সোমবারই কক্সবাজার সদর মডেল থানায় ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ উল্লেখ পূর্বক একটি এজাহার দায়ের করা হয়। গতরাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত কাইছার হামিদ নিশ্চিত করেন যে, সোমবারের লুঠ হওয়া মালামাল উদ্ধার হয়েছে এবং সবই থানা হেফাজতে রয়েছে।