কফিল উদ্দিন জয়, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার স্পর্শকাতর ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের জিরো লাইনের বাস্তুচ্যুত হয়ে তমব্রুতে অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রথম দফায় ৩৬ পরিবারের ১৮৪ জন রোহিঙ্গাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
রবিবার ৫ ফ্রেরুয়ারী সকাল ১১টার দিকে ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ’র সহায়তায় কুতুপালং ক্যাম্প ৫’র সিআইসি প্রীতম শাহ’র তত্বাবধানে সীমান্তের জিরো লাইন থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়’র পাশে অবস্থান নেওয়া প্রায় ২ হাজার ৯৭০ জন রোহিঙ্গাদের মধ্যে প্রথম দফায় ৩৬ পরিবারের ১৮৪ জন রোহিঙ্গা কুতুপালং রাবার বাগানস্থ ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রথম দফায় ৩৬ পরিবারের মোট জনসংখ্যা ১৮৪ জন রোহিঙ্গার মধ্যে ইউএনএসিআর কর্তৃক নিবন্ধিত রয়েছে ২৪ পরিবার ও আইসিআরসি কর্তৃক ১২টি পরিবার নিবন্ধিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্যাম্প ৫’র সিআইসি প্রীতম শাহ।
রোহিঙ্গারা বাস্তুচ্যুত হয়ে আসার পর থেকে তুমব্রু গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নেওয়ার কারনে এলাকার পরিবেশ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছিল বিধায় স্হানীয়দের দাবি রক্ষার্থে কুতুপালং ক্যাম্পের নিয়ে যাওয়ার জন্য আইসিআরসিকে সহায়তা করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান একে এম জাহাঙ্গীর আজিজ ।
বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নজুমিয়ার ছেলে আবু তাহের (৫০), নুরুল আলমের ছেলে মোঃ রুবেল (২৫), নুরুল বশরের মেয়ে রোবিনা আক্তার (২২),আবু তাহেরের ছেলে নেজাম উদ্দিন (২২)সহ আরো অনেকেই বলেন,কারো প্ররোচনা ছাড়াই তারা স্ব-ইচ্ছায় কুতুপালং ট্রানজিট ক্যাম্পে চলে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, গত ১৮ জানুয়ারি ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে জিরো লাইনে দুই রোহিঙ্গা সশস্ত্র গোষ্ঠী আরসা ও আরএসও’র মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় বস্তিতে আগুন ধরিয়ে দিলে ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গারা প্রাণ রক্ষার্থে তুমব্রুর এপারে আশ্রয় নেয়।