সোমবার, অক্টোবর ২, ২০২৩

শেষ মুহুর্তে জমজমাট কোরবানির ৯০ হাট,সকাল থেকে রাত অবধি বিকিকিনি

সিসিএন অনলাইন ডেস্ক:
২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আযহা। শেষ মুহুর্তে
জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। পছন্দের পশু
বিকিকিনিতে দিন পার করেছে ক্রেতা বিক্রেতারা। অনেকে আজ বুধবার শেষ দিনে ক্রয়ের জন্য গতকাল কিনেনি । দামের সাথে সাধ ও সাধ্যের হিসেব মিলাতে ব্যস্ত মধ্যবিত্ত।

মঙ্গলবার ২৭ জুন বৃষ্টি উপেক্ষা করে জেলার উল্লেখযোগ্য বাজার বসেছিল রামু বাজার, কাটিরমাথা বাজার, সদরের ঈদগাহ বাজার, রুমখা বাজার, পিএমখালীর জুমছড়ি বাজার। উক্ত বাজার সমুহে জমজমাট বিক্রি হয়েছে।

বৃষ্টির মাঝেও বিপুল মানুষের সমাগম ঘটে। জেলার অধিকাংশ বাজারই ছিল সরগরম। বাজারে মাঝারি গরুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা। বাহারি নামে গরুর নাম ও দাম। চেরাংঘর বাজারে ১০ মন ওজনের বাহুবলীর দাম হাঁকা হয়েছে ৩ লাখ টাকা।

খরুলিয়া বাজারে আজ তোলা হবে ১৮ মন ওজনের রাজা বাবুকে। শেষ মুহুর্তে ক্রেতা বিক্রেতাদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে জেলার ৯০ টি কোরবানির পশুর হাট। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে সতর্ক। মানুষ অনেকটা স্বাছন্দে বিকিকিনি করতে দেখা যায়।

সরেজমিনে ঘুরে সদর ও রামুর কয়েকটি বাজারে তেমনই চিত্র দেখা যায়। এ বছর দেশিয় গরুর বিপুল সমাগম হলেও দাম বেশি বলে ক্রেতারা জানান।

পিএমখালীর বৃহৎ কোরবানির হাট জুমছড়ি বাজারের ইজারাদার হাফিজুর রহমান লাভলু জানান- বাজারে গতকাল পর্যন্ত ৫শতাধিক গরু মহিষ বিক্রি হয়েছে। বাজারের শৃঙ্খলা এবং লাইটিং ব্যবস্থা জোরদার থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতারা রাত অবধি বিকিকিনি করেছে।

বুধবার সকাল থেকে আবার বিকিকিনি শুরু হবে। বেশির
ভাগ স্থানীয় এবং দেশীয় গরু হওয়াতে বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্রেতারা এখানে ভীড় জমিয়েছে। আশা করি চাহিদা মত সুন্দর গরু ক্রয় করতে কোন সমস্যা হবে না। এই বাজারের ইজারাও অন্যান্য বাজার থেকে কম হওয়ায় বিক্রেতারা এখানে বিপুল গরু মহিষ নিয়ে এসেছে।

জেলার শীর্ষ কোরবানির পশুর হাট সদরের খরুলিয়া বাজারের ইজারাদার মোহাম্মদ সরওয়ার জানান, ” আজ বছরের শেষ কোরবানির হাট। জেলার সবচেয়ে বড় বাজার খরুলিয়া বাজারে লক্ষাধিক গরু মহিষের হাট হবে।

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বেপারিরা কোরবানির ৯০ হাট ইতোমধ্যে ২০ হাজারের বেশি গরু মহিষ এনে মজুদ রেখেছে। আজ রেকর্ড সংখ্যক গরু মহিশ বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। বাজারের পরিবেশ এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হওয়াতে ক্রেতা বিক্রেতাদের আস্থাও বেশি। আশা করি শেষ বাজারে মানুষ পছন্দমত গরু মহিষ কিনতে পারবে। শেষের দিনে গরু মহিষের বাজার দাম পড়তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি ৫ হাজার গরু মহিষ বিক্রির আশা প্রকাশ করেন । “

কক্সবাজার প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, ঈদুল আজহায় জেলায় কোরবানিযোগ্য ১ লাখ ৫১ হাজার ৫২২টি পশু রয়েছে। এই পশুগুলোর মধ্যে গরু (ষাঁড়, বলদ, গাভী) ১ লাখ ৪৫২টি, মহিষ ৫ হাজার
৯৪টি, ছাগল ৩৫ হাজার ৪০৭টি, ভেড়া ১০ হাজার ৬৬৯টি । জেলায় স্থায়ী হাটের সংখ্যা ৩৮ ও অস্থায়ী ৫২টি। মোট ৯০টি হাট রয়েছে। আর মেডিকেল টিম রয়েছে ২৭টি।

এদিকে রামুর বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু প্রবেশে কড়াকড়ি হওয়ায় শেষের দিকে বাজার জমতে শুরু করেছে। রামুর গর্জনীয়া, নাইক্ষংছড়ির কোরবানের হাটবাজার সমুহে সীমান্তে গরু প্রবেশ রোধ করতে কড়া দায়িত্ব পালন করছে র‌্যাব – বিজিবি। শুরুর দিকে কিছু পাচারকারী গরু মহিষ আনলেও এখন পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

চাকমারকুল, কলঘর, মিঠাছড়ি বাজারে আজ শেষ দিনে কোরবানির পশুর ক্রেতা বিক্রেতাদের ঢল নামতে পারে। সব ধরনের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব কঠোর নজরদারি বৃদ্ধি করেছে।

আজ শেষ দিনে জম্পেশ বিকিকিনির আশা করছেন ইজারাদাররা ।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর