সিসিএন রিপোর্ট:
বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়াল অ্যাডমিরাল মীর এরশাদ আলী বলেছেন, মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে চলমান সংঘাতের মধ্যে কোস্টগার্ড উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
রোববার টেকনাফের নাফনদী সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, কোনো অবৈধ অনুপ্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, মিয়ানমারে চলমান সংঘাত স্বাভাবিকভাবেই সেখানকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এর রেশ পড়তে দেওয়া হবেনা।

তিনি বলেন, এটা স্বাভাবিক যে সেখানকার অপরাধীরা এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে মাদক চোরাচালান ও অবৈধ প্রবেশের আশঙ্কা বাড়িয়েছে। সবকিছু বিবেচনায় রেখে কোস্টগার্ড তার জনবল, টহল এবং সতর্কতা বাড়িয়েছে।
সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দায়িত্ব পালন করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিজিবির পাশাপাশি কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সহ অন্যান্য বাহিনীও রয়েছে।
সম্প্রতি কোস্টগার্ডের কাছে মিয়ানমারের বর্ডার গার্ড পুলিশ বিজিপির ১৩ সদস্য অস্ত্রসহ আত্মসমর্পণ করে। পরে তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়।

মীর এরশাদ আলী বলেন, নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ায় তাদের প্রত্যাবাসন চলছে। এ ছাড়া অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী অনেককে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সীমান্ত পুরোপুরি সুরক্ষিত জানিয়ে তিনি বলেন, আর কাউকে অবৈধ প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবেনা।
এদিকে কোস্টগার্ড মহাপরিচালকের নাফনদী সীমান্ত পরিদর্শনের সময় মিয়ানমারের সীমান্তে অবস্থান করা যুদ্ধ জাহাজ থেকে ছোঁড়া গুলিতে বাংলাদেশী ২ জন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়। এই ঘটনায় সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তায় উদ্বেগ তৈরী হয়েছে।