শনিবার, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

হাকিম ডাকাত নাকি অন্য কেউ? ফেসবুকে আলোচনার ঝড়!

সাইদুল ফরহাদ:
রোহিঙ্গা ডাকাত আবদুল হাকিম। টেকনাফের পাহাড়ি অঞ্চল ও মিয়ানমার সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের কাছে এক আতঙ্কের নাম। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনি টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করেছেন। এ সময়ের মধ্যে ডাকাতি, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ ও মাদক ব্যবসাসহ নানা অপরাধে ভয়ংকর হয়ে ওঠেন আবদুল হাকিম। অভিযোগ রয়েছে রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে তার। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকবার অভিযান চালিয়েও তাকে ধরতে ব্যর্থ হয়।

তবে ৩১ জুলাই সোমবার টেকনাফ মিনাবাজার অপহরণ করতে এসে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে মারা যাওয়া আজিম উল্লাহকে কুখ্যাত ডাকাত হাকিম বলে দাবি করা হচ্ছে। অপর জনকে আনসার বাহিনী বন্ধুক লোট হাওয়া ঘটনার অন্যতম আসামি বশির ডাকাত বলা হচ্ছে।

এটা নিয়ে পুরো জেলা ও সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মধ্যে তুমুল আলোচনা ও রহস্য সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত প্রশাসন থেকে এই বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

একাংশ মানুষ বলছেন হাসপাতালের মর্গে থাকা ব্যক্তির চেহারা, দেহের গঠন ও মুখের পাশে দাগ, দাঁতের সাথে মিল থাকার কারণে তাকে হাকিম ডাকাত বলছে। তবে আরেক অংশ বলছেন হাকিম ডাকাতের কাছে ভারী অস্ত্র থাকার পরও তাকে আটক অসম্ভব হলে দাবি করছেন।

টেকনাফ হোয়াইক্যং মহেশখালীয়া পাড়ার বাসিন্দা রাজু বলেন, ২০২০সালে আমাকে অপহরণ করেছিল হাকিম ডাকাত। পরে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে তার হাত থেকে রক্ষা পাই আমি। সমাজিক যোগাযোগ ফেসবুকে যে ব্যাক্তির ছবি দেখা যাচ্ছে সে হাকিম ডাকাতের সাথে মিল আছে। এটা যে হাকমি ডাকাত সেটা বুঝতে পেরেছি তার দাঁত দেখে।

এই বিষয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, এটা হাকিম ডাকাত বরে স্বীকার করেছে তার ভাই বশির। তবে বশির তার বুদ্ধিমাত্রায় তাদের পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করে। পরবর্তী চাপ সৃষ্টি করলে সে স্বীকার করে ।

আরও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

সর্বশেষ খবর