আখতার মারুফ:
বসন্ত বাতাসে ঝিমধরা শীত নেই, শীতের আমেজ বিদায় নিচ্ছে, এখন শুধুই আছে ভালোবাসা। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ও পহেলা ফাল্গুন, নিজের প্রিয় মানুষকে ভালবাসার বহিঃপ্রকাশে ফুলের জুড়ি নেই। এই দুই উৎসবে ফুলদিয়ে বরণ করবে প্রিয়জনদের।
তাই এই দিনে ফুলের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর। এই ফুলের চাহিদার সামাল দিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে ফুল ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশের গোলাপ রাজ্য হিসেবে পরিচিত কক্সবাজারের চকরিয়া। যেখান থেকে প্রতিদিন লাখের অধিক গোলাপ পাওয়া যায়। আর এ গোলাপ থেকে প্রতিদিন আয় হয় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা। ভালোবাসা দিবস আর একুশে ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে চকরিয়ার বরইতলীর ফুল চাষীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
এবার ফলন বেশি হওয়ায় ফুল চাষীদের মুখে হাসি ফুটেছে, আশা করছে এই মৌসুমে কোটি টাকার ফুল বিক্রি হবে। ইতিমধ্যে ভালোবাসা দিবসে গোলাপ ফুলের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অনেক অগ্রীম অর্ডারও এসেছে।
চকরিয়ার বরইতলীর এই গোলাপ রাজ্য হতে বিভিন্ন আগতদার ব্যবসায়ীরা পাইকারি মূল্যে ফুল ক্রয় করে চকরিয়া কক্সবাজার চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করে থাকে।
ফুল চাষী আনছারুল ইসলাম জানান, এই বছর ৪০ শতক জমিতে গোলাপ চাষ করেছে, এতে চারা ক্রয়, রোপনসহ বিভিন্ন আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। এই জমিতে উৎপাদিত গোলাপের বাজারমূল্য প্রায় দেড় লক্ষধিক টাকায় উপর জানিয়েছেন এই ফুল চাষী।
বরইতলীতে ৫০-৬০ একর জমিতে গোলাপ ফুলের চাষাবাদ করা হয়, এই পরিমাণ গোলাপের বাগান হতে দৈনিক লাখের কাছাকাছি গোলাপ ফুল সংগ্রহ করা যায়, এসব ফুল তিন থেকে চার লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়।
তবে ভালোবাসা দিবস ও ২১শে ফেব্রুয়ারী মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্যাপক চাহিদা থাকে গোলাপ ফুলের, তাই এই চাহিদার তুলানায় যোগান কম থাকায় এই মৌসুমে ফুলের দাম বৃদ্ধি পায়৷