সাইদুল ফরহাদঃ
পুষ্পরথ সাজাবো সখী, হবো তোমার কৃষ্ণ/ সপ্তরঙের পদ্ম পানে হৃদয় হবে উষ্ণ,/
প্রেমের অঞ্জলি যতো লুটাবো চরণে/ পুষ্পবৃষ্টি ঝরাবো দেখো তোমায় বরণে।
হ্যাঁ মনে দোলা দিচ্ছে পাহাড় আর সাগরের কোল ঘেঁষা কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভের দুই পাশের ফাগুনের ফুল।
মন রাঙাচ্ছে নানা রঙের বাহারী ফুল। গাছে গাছে রং ছড়াচ্ছে পলাশ ও শিমুল ফুলে। গাছে গাছে পাখির কলতান ও বাহারি নানা ফুল শোভা বাড়িয়েছে বহুগুণ। প্রকৃতির এমন রূপ উপভোগ করছেন পর্যটকরা।
পলাশ, শিমুল, কৃষ্ণচূড়া, রাধাচুড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির এসব গাছের ফুল ছেয়ে গেছে সমুদ্র সৈকতসহ মেরিন ড্রাইভ সড়ক। একপাশে সবুজের সমারোহ নিয়ে উঁচু পাহাড়, আরেক পাশে সমুদ্র। দুই পাশের সারি সারি পলাশ ও শিমুল গাছে ফুটেছে বাহারি ফুল। প্রকৃতির এমন দৃশ্য দেখে আনন্দিত পর্যটকরা।
পর্যটকরা বলছেন, শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, কক্সবাজারে দেখার মতো অনেক কিছু রয়েছে। যেমন সরু মেরিন ড্রাইভের দুইপাশে ফুলগাছ। একপাশে সমুদ্র আর অন্যপাশে পাহাড়। এসব কক্সবাজারে বাড়তি সৌন্দর্য দিয়েছে। এসব দেখতে ভালো লাগে। মন চায় বারবার ফিরে আসতে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক মোহাম্মদ শফিক বলেন,পরিবার নিয়ে কক্সবাজার আসছিলাম কক্সবাজার ঘুরতে। ইনানী সমুদ্র দেখতে যাওয়ার পথে সড়কের দুই পাশ,শিমুল ও রক্ত রাঙ্গা কৃষ্ণচূড়া, যেন পুড়ে পুড়ে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে। এমন দৃশ্য আমি আগে কোনোদিন দেখেনি।তাই গাড়ি থামিয়ে ছবি তুলছি।
আরেক পর্যটক ইশরাত বলেন,কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয় কক্সবাজারে দেখার মতো আরো অনেক কিছু আছে। তার মধ্যে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শিমুল ফুলের এমন সুন্দর দৃশ্য। আমি মনে করি এইরকম গাছ আরো লাগানো দরকার।
টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অধিনায়ক আ্যপেল মাহমুদ বলেন, সমুদ্র হাওয়া পাহাড়ের শীতলতার মাঝে ফুলে ফুলে সজ্জিত মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণ রোমাঞ্চকর হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সবসময়ই প্রস্তুত।